বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম যেহেতু খলিফার হাতে বন্ধী ছিলেন তাই শিয়ারা তার সাথে কোনভাবে যোগাযোগ করতে পারতেন না। তারা সর্বদা রাস্তায় অপেক্ষা করতেন যখন ইমামকে দরবারে নিয়ে যাওয়া হত তখন তারা দূর থেকে ইমামকে দেখতেন।
ইসমাইল মোহাম্মাদ বলেন, আমি ইমামের কাছে সাহায্য নিতে গিয়েছিলাম কিন্তু কোন ভাবেই তার সাথে দেখা করতে পারছিলাম না তখন রাস্তায় ইমামের সাথে সাক্ষাত করি এবং তার কাছ থেকে টাকা নেই। আরও অনেকে বলেন, আমরা ইমামের সাথে বিভিন্ন কাজের জন্য রাস্তায় তার সাথে মোলাকাত করতাম।
যে সকল জল্লাদরা ইমামকে কষ্ট দিত। বিভিন্ন সময়ে ইমামকে কষ্ঠ দেওয়ার সময় তারা ইমামের নামাজ, রোজা এবং ইবাদত বন্দেগি দেখে নিজেরাই বলেন: فَقَدْ صَارَا مِنَ الْعِبَادَةِ وَ الصَّلَاةِ وَ الصِّيَامِ إِلَى أَمْرٍ عَظِيمٍ আমরা খুব খারাপ লোক ছিলাম কিন্তু ইমামের ইবাদত দেখে ইবাদত বন্দেগীর উচ্চ পর্যায়ে পৌছেছিলাম।
শিয়া এবং মহব্তকারীদের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে ইমাম হাসান আসকারী(আ.) বলেছেন: আমাদের শিয়া তারাই যারা আমাদের যাবতীয় নির্দেশ পালন করে এবং আমাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলে। আর মহব্বতকারী হচ্ছে মুখে আমাদেরকে ভালবাসে কিন্তু কাজে তা পালন করে না।