শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: নবীর আহলে বাইতের প্রতি ভালবাসাকে মহান আল্লাহ আমাদের উপর ফরজ করেছেন। আর নবীর আওলাদদের সন্তানরা যেহেতু তাদরে সাথ্ জাগিত তাই তাদের মাজার যিয়ারত করাও আমাদের জন্য অতি সৌভাগ্যের ব্যাপার।
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) বলেছেন: الأمور مرهونة بأوقاتها، মানুষের কর্ম তার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ সময় পার হলে আর তাদের কিছু করার থাকে না।
মানুষ সারা জীবন কাবাঘরের চারপাশে তাওয়াফ করে আসছে কিন্তু যখন মাওলা আলীর জন্ম কাবাঘরে হল তখন থেকে মানুষ এর আসল হকিকত বুঝতে পারল যে, কেন মানুষের সকল আমল কাবার দিকে মুখ করে আঞ্জাম দিতে হবে। নামাজ এবং সকল ইবাদত তাছাড়া কিবলামুখি হয়ে মৃত্যুবরণ ও কিবলামুখি করে কবরে শোয়ানো সবই হচ্ছে এই কাবার ফজিলত।
ইমাম সাজ্জাদ(আ.) বলেছেন: মাকামে ইব্রাহীম এবং হাজারুল আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থান হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে সম্মানিত স্থান, আর ঐ স্থানের নাম হচ্ছে হাতিম। কেননা ঐস্থানে সকল নবীর পদার্পন ঘটেছে। আর বর্তমানে ইমাম মাহদী(আ.) ঐ স্থানে তাওয়াফ করেন।
বর্তশানে কারবালার মাজির সওয়াব এত বেশী হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সেখানে ইমাম হুসাইন(আ.) শহীদ ও তার পবিত্র দেহ মোবারক দাফন করা হয়েছে।
মসজিদে কুফায় ফরজ নামাজের সওয়াব হচ্ছে মহানবীর সাথে হজ পালন করার সমান আর মুস্তাহাব নামাজের সওয়াব হচ্ছে মহানবীর সাথে ওমরা পালন করার সমান। কেননা এখানে সকল নবী ও ফেরেশতাদের সেজদার স্থান রয়েছে।