বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: অতঃপর বলেন, আর যারা তাদের নামাজে যত্নবান, তারাই জান্নাতের ওয়ারিশ—যারা ফিরদাউসের ওয়ারিশ হবে এবং তথায় তারা চিরকাল থাকবে।’ (সুরা আল-মোমিন: ৯,১০,১১)
মনে রাখতে হবে, নামাজ যেহেতু আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল আল্লাহর নৈকট্য লাভের ও মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ, নামাজের হেফাজত করলে মুক্তি, অন্যথায় ধ্বংস ইত্যাদি।
নামায হচ্ছে সমুদ্রের অন্তরের মতো বিশাল একটি শহর যেখানে সবসময় এমন এক বাসন্তী আবহাওয়া বিরাজ করে-যে বসন্ত ঐশী প্রেমের মূর্ছনায় সবসময় সতেজ থাকে। নামাযের শহরের এই পরিবেশ খোদার জিকির-আজকারে পূর্ণ,সেজন্যে তার আধ্যাত্মিক শীতল সমীর আত্মাকে সজীব করে তোলে।
একবার বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মসজিদে নববীতে বেশ প্রফুল্ল চিত্তে উপস্থিত হলেন। কিছুক্ষণ পর মুসল্লিদের সমাবেশে তিনি নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া সুসংবাদ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তোমরা কি জানো মহান আল্লাহ নামাজীদের জন্য কি সুসংবাদ দিয়েছেন? উপস্থিত সাহাবীরা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা:)ই ভালো জানেন, আমরা শোনার জন্য প্রস্তুত। তখন মহানবী (সা:) মহান আল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন, যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মত আদায় করবে এবং নামাজের যত্ন নেবে বা নামাজকে কম গুরুত্ব দেবে না ও এই অবস্থায় আমার অর্থাৎ আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে, আমি তাকে বেহেশতে প্রবেশের ওয়াদা দিচ্ছি। আর যে নামাজ আদায় করবে না, তার সম্পর্কে আমার এ ধরনের কোনো ওয়াদা নেই। আমি চাইলে তাকে শাস্তি দেব, অথবা ক্ষমা করবো। শাবিস্তান