বার্তা সংস্থা ইকনা: বিক্ষুব্ধ লোকজন বলছেন, ট্রাম্পের এ উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টি করবে। মুসিলম বিশ্বের বহু দেশের গণমাধ্যম বলেছে, ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতির চরম লঙ্ঘন। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার মাধ্যমে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ওয়াশিংটন ব্যর্থ বলে গণ্য হবে।
জনসংখ্যার দিক দিয়ে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ পাকিস্তানও ট্রাম্পের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। তুরস্ক মার্কিন পদক্ষেপকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে এ সিদ্ধান্ত নতুন করে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া, দেশটি ওআইসি'র শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেছে।
মিশরও ট্রাম্পের ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আস-সিসি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বলেছেন, আমেরিকার পদক্ষেপ বিপজ্জনক ও শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হবে। প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি টুইটার বার্তায় বলেছেন, ট্রাম্পের এ ঘোষণাকে লেবানন প্রত্যাখ্যান করছে।
কাতার বলেছে, ট্রাম্পের এ ঘোষণা কথিত শান্তি আলোচনার জন্য মৃত্যুদণ্ডের শামিল। মার্কিন পদক্ষেপে মরক্কো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জর্দানও এ পদক্ষেপকে নাকচ করেছে। তারা বলেছে, এ ঘোষণার মধ্যদিয়ে ট্রাম্প জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ মার্কিন ঘোষণাকে বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, আমেরিকার এ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা বিনাশ করবে।