IQNA

‘ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বইয়ের উপর এবারও থাকছে নজরদারি’ : বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক

22:04 - January 26, 2018
সংবাদ: 2604894
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সপ্তাহ পেরুলেই শুরু হবে একুশে বই মেলা। এ নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আগেই। এ মুহূর্তে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকাশকরা। আয়োজক বাংলা একাডেমীও ব্যস্ত মেলার সার্বিক প্রস্তুতিতে।

‘ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বইয়ের উপর এবারও থাকছে নজরদারি’ : বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক
বার্তা সংস্থা ইকনা: গেল কয়েক বছর মেলায় ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বই নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। গত বছর বই মেলায় এই ধরনের বইয়ের উপর কড়া নজরদারি ছিল। এবারো নজদারি বাড়ানো হবে এমনটাই জানিয়েছেন, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। টিভিএনএ’কে দেওয়া সক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করার অধিকার সবারই আছে। তবে ধর্ম নিয়ে কুরুচিপূর্ণ লেখার অধিকার কারো নেই। যারা এই কাজটি করে তাদেরকে মেলায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না। গত বছরের মতো এবারো ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বইয়ের উপর প্রশাসনের নজরদারি থাকবে বলে জানান তিনি।

ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশের বই প্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ। আর তাই পাঠক লেখক প্রকাশক সকলেই সারাবছর অপেক্ষা করেন এ মাসটির জন্য। এ আয়োজনকে সফল করতে প্রকাশকরা এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কথা প্রকাশনীর প্রকাশক জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের প্রকাশনার শুরু থেকে এই পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কাজ হচ্ছে এ বছর। কারণ এই বছর আমাদের অনেকগুলো বই পুরস্কার পেয়েছে। এতে আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মুহা. সাহেদের ‘নতুন চর্যাপদ’ পুরস্কৃত হয়েছে।

প্রথমা প্রকাশনীর ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, বই মেলাকে সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। অনেকগুলো নতুন বই আমরা হাতে পেয়েছি। এবারের মেলায় আমাদের ৭০-৭৫টি নতুন বই আসবে। এর মধ্যে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের লেখা বইও রয়েছে।

একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, বই মেলাকে উদ্দেশ্য করে তাড়াহুড়ো করে বই ছাপান অনেক প্রকাশক। এতে বইয়ের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। তাড়াহুড়ো করে বই ছাপতে গিয়ে প্রকাশকরা বইয়ের মানের দিকে খেয়াল করে না। ফলে বইয়ে অনেক ভুল থাকে। তাই আমার অনুরোধ বই মেলায় যারা অংশগ্রহণ করবেন সে প্রকাশকরা যেন তাদের নিজস্ব সম্পাদককে প্রতিটি পা-ুলিপি পরীক্ষা করে ছাপেন।

তিনি আরও বলেন, অন্যবারের চেয়ে এবার মেলার পরিসর বাড়ছে। একই সঙ্গে অংশগ্রহণকারী স্টল ও প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার ৮৩টি নতুন প্রকাশনা সংস্থা মেলায় অংশ নেওয়ার আবেদন করেছে। এর মধ্যে ৬০টি সংস্থাকে স্টল দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে এবারের মেলায় অংশগ্রহণের জন্য পাবলিশার্সদের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলায় লেখক, সাহিত্যিক, কবি, বিভিন্ন অঙ্গনের সিনিয়র ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবীসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রবেশের জন্য আলাদা একটি গেইট স্থাপন করা হচ্ছে। এই গেইট দিয়ে শুধুমাত্র লেখকদেরই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে বলে জানান বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক।

তিনি জানান, গতবছর মেলায় মোট পাঁচ লাখ ১৩ হাজার বর্গফুট এলাকায় মেলা বসেছিল। এবার তা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে সাড়ে পাঁচ লাখ বর্গফুটে। স্টলের ইউনিট এবার বেড়েছে ৪১টি। গত বছর মেলায় ইউনিট ছিল ৬৫৯টি। এবার ৪৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৭০০ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা বেড়েছে মোট ৬০টি। এর মধ্যে নতুন প্রকাশনা ৩৪ এবং লিটল ম্যাগ ও অন্যান্য সংস্থার সংখ্যা বেড়েছে ২৬টি। প্যাভিলিয়ন বেড়েছে ১২টি। গতবার প্যাভিলিয়ন ছিল ১১টি। এবার হচ্ছে ২৩টি। বাংলা একাডেমীর সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে এ সব তথ্য জানানো হয়। আমাদের সময়

captcha