IQNA

রোজা অবস্থাতে কুরআন পাঠের সওয়াব অধিক হারে বৃদ্ধি পায়

17:50 - May 24, 2018
সংবাদ: 2605828
রাসূলের (সা.) পবিত্র মুখ নিঃসৃত হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী মাহে রমজান হচ্ছে পবিত্র কুরআন পাঠের বসন্তকাল। কুরআন শুধুমাত্র তিলাওয়াত করাই যথেষ্ট নয়, বরং কুরআনের আয়াতের অর্থ অনুধাবনের পর তা নিজেদের জীবনে বাস্তবায়নই হচ্ছে পবিত্র রমজান মাসের সর্বোত্তম ইবাদত।



বার্তা সংস্থা ইকনা: পবিত্র মাহে রমজানের আগমন উপলক্ষে ইরানের বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক হযরত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়েদ মুজতাবা বাদরি শাবিস্তান প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন: পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে কুরআন নাজিলের মাস। এ মাসেই পবিত্র শবে কদর রয়েছে; যে কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং ফজিলতপূর্ণ। এ মাসটি বছরের অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে উত্তম ও বরকতময়। এ মাসের ইবাদত ও বন্দেগী অন্য যে কোন মাসের চেয়ে সওয়াব বেশি পাওয়া যায়। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী রমজান মাসের প্রস্তুতির জন্য আল্লাহর রমজানের আগে রজব ও শাবান মাসকে নির্ধারণ করেছেন; যাতে বান্দারা সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এ বরকতময় মাসে প্রবেশ করতে পারে। তাই প্রত্যেক ঈমানদার বান্দার উচিত মাহে রমজানের ফজিলতপূর্ণ মুহূর্তগুলো থেকে উপকৃত হওয়া এবং এ মাসের অধিক থেকে অধিকতর ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করা।

তিনি আরও বলেন: রমজান মাসে কুরআনের প্রত্যেকটি আয়াত তিলাওয়াত করলে অন্য যে কোন মাসের তুলনায় অধিক সওয়াব পাওয়া যায়। তাই এ মাসে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের পাশাপাশি কুরআনের আয়াতসমূহের অর্থ সঠিকভাবে অনুধাবনের মাধ্যমে সেগুলো আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করা।

captcha