IQNA

রমজান মাস সম্পর্কে ইমাম মাহদীর উপদেশ

17:55 - May 24, 2018
সংবাদ: 2605829
ইমাম মাহদী(আ.) তার দ্বিতীয় নায়েব যিনি ৪০ বছর তার দায়িত্ব পালন করেছেন। তাকে রমজান মাস উপলক্ষে একটি বিশেষ দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন।



বার্তা সংস্থা ইকনা: রমজান মাস হচ্ছে দোয়ার মাস, তওবার মাস, কুরআন তিলাওয়াতের মাস। বিশেষ করে এই মাসে ইমামদের থেকে যে সকল দোয়া বর্ণিত হয়েছে তা পাঠ করা খুবই জরুরী।

সূরা ফুরকানের শেষ আয়াত অর্থাৎ ৭৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: قُلْ مَا يَعْبَأُ بِكُمْ رَبِّي لَوْلَا دُعَاؤُكُمْ فَقَدْ كَذَّبْتُمْ فَسَوْفَ يَكُونُ لِزَامًا

(হে রাসূল আপনি সবাইকে) বলুন: তোমরা আমার প্রতিপালককে না ডাকলে তাঁর কিছু আসে যায় না। (কারণ) তোমরা দ্বীনকে অস্বীকার করেছো, কাজেই শিগগিরই তোমাদের উপর নেমে আসবে অনিবার্য শাস্তি।

এ আয়াতে আল্লাহর দয়া ও করুণা লাভের শর্ত হিসেবে তার কাছে দোয়া ও মুনাজাত করার কথা উল্লেখ করে বলা হচ্ছে: দুনিয়া ও আখিরাতের শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে হলে মানুষের সামনে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করা, করুণা ভিক্ষা চাওয়া ও তওবা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। অবশ্য বহু মানুষ আল্লাহর আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে। কাফির ও মুশরিকরা অন্তর দিয়ে যেমন আল্লাহর কালামকে গ্রহণ করে না তেমনি মুখেও সেকথা প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়। কিন্তু মুমিন ব্যক্তিরা অন্তর দিয়ে যেমন আল্লাহর বাণীকে মেনে নিয়েছে তেমনি মুখেও সেকথা উচ্চারণ করে। তবে কখনো কখনো তারা এমন কিছু কাজ করে বসে যা আল্লাহর বাণী অস্বীকারকারীদের আচরণের মতো হয়ে যায়।

আল্লাহর করুণা পাওয়ার শর্ত হচ্ছে তাঁর ইবাদত বন্দেগি করার পাশাপাশি তার কাছে কায়মনোবাক্যে দোয়া ও মুনাজাত করা। অন্যদিকে পাপকাজ ও আল্লাহর আয়াত অস্বীকার করলে তাঁর ক্রোধের শিকার হতে হয়।

দোয়া ও ইবাদত পরিত্যাগ করা আল্লাহর আয়াত ও তার অসংখ্য নেয়ামত অস্বীকার করার শামিল।

রমজান মাসে আল্লাহর কাছে আমাদেরকে তিনটি বিশেষ দোয়া করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে: ১- রোজা রাখার তৌফিক, ২-কুরআন তিলাওয়াত করার তৌফিক এবং ৩- ইমাম মাহদীর আবির্ভাব ত্বরান্বিত হওয়ার জন্য দোয়া করা।

ইমাম মাহদী(আ.) রমজান মাসে বিশেষ করে দোয়া ইফতিতাহ পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই দোয়াটি ইমাম মাহদীর দ্বিতীয় নায়েবের মাধ্যমে আমাদের কাছে পৌঁছেছে এবং শিয়া মাজহাবের সকল নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ যেমন মাফাতিহুল জিনান এবং ইকবালুল আমাল গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।

captcha