বার্তা সংস্থা ইকনা: আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ ইমামি কাশানি আজ জুমার নামাজের দ্বিতীয় খুতবায় সূরা আল ইমরানের ১১৮ থেকে ১২০ নম্বর আয়াতের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন: মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন: হে বিশ্বাসিগণ! তোমাদের নিজেদের (বিশ্বাসীদের) ব্যতীত অন্যদেরকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ কর না, (কেননা,) তারা তোমাদের ক্ষতিসাধনে কোনরূপ অবহেলা করে না, তারা কেবল তোমাদের দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ কামনা করে। নিঃসন্দেহে শত্রুতা তাদের মুখে প্রকাশ পেয়েছে এবং তাদের বক্ষসমূহ যা গোপন করে রাখে তা আরও গুরুতর। আমরা নিদর্শনসমূহ তোমাদের জন্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি, যদি তোমরা বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ কর। (হে সরল মানুষেরা!) শোন, তোমরা এমন যে, তাদেরকে ভালবাস, অথচ তারা তোমাদের (যৎসামান্যও) ভালবাসে না; এবং তোমরা সম্পূর্ণ গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস পোষণ কর, আর তারা (এমন নয়, তবে) যখন তোমাদের সংস্পর্শে আসে তখন বলে ‘আমরাও বিশ্বাস করেছি’; আর যখন নিঃসঙ্গ হয় তখন তোমাদের প্রতি ক্রোধবশত আঙ্গুলসমূহের অগ্রভাগ কামড়াতে থাকে। (হে রাসূল!) তুমি বল, ‘তোমরা ক্রোধে (জ্বলে-পুড়ে) মরে যাও।’ নিশ্চয় আল্লাহ বক্ষসমূহের অবস্থা সম্পর্কে সম্যক অবহিত। (হে বিশ্বাসিগণ!) যদি তোমাদের কোন মঙ্গল স্পর্শ করে তবে তা তাদের দুঃখিত করে এবং যখন তোমাদের ওপর কোন বিপদ আসে তখন তারা তাতে আনন্দিত হয়। যদি তোমরা ধৈর্য ধর ও সাবধান (আত্মসংযমী) হও তাহলে তাদের ষড়যন্ত্র তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। (কেননা,) নিশ্চয় আল্লাহ তাদের কৃতকর্মকে বেষ্টন করে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন: ইসলমের এই শত্রু সর্বদা চেয়েছে, ইসলামী উম্মত সর্বদা অসুস্থ হয়ে থাকুক এবং তারা নিজের পায়ে না দাড়াতে পারুক।
তেহরানের জুমার নামাজের অস্থায়ী খতিব আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ ইমামি কাশানি বলেছেন, ইরানের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে মার্কিনীরা ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত। এই ক্ষোভেই তারা মারা যাবে।
তিনি বলেন, শত্রুকে চিনতে হবে এবং তাদের ষড়যন্ত্রগুলো উপলব্ধি করতে হবে। ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে প্রমাণ করেছে মার্কিন নেতারা ইসলামের শত্রু। মুসলিম সমাজের প্রতি আঘাত হানাই তাদের টার্গেট বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জনাব কাশানি বলেন শত্রুরা চায় মুসলিম উম্মাহ সবসময় নিরাপত্তাহীন ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকুক। তারা জানে যে, ইসলামই একটি সমাজের উন্নয়ন, অগ্রগতি সম্মান ও মর্যাদা বয়ে আনে। সে কারণেই এই ঐশী দ্বীনের ওপর তারা সবসময় আঘাত হানার অপচেষ্টা চালায়।
শত্রুদের সেইসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলার উপায় হলো দৃঢ় ঈমানের ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব সামর্থ ও বিশাল তরুণ সমাজের ঐক্যকে কাজে লাগানো।
ইসলামের শত্রুরা ধ্বংস হবে এবং ইসলামি উম্মাহর বিজয় নিশ্চিত বলে বিশিষ্ট এই আলেম মন্তব্য করেন।