বার্তা সংস্থা ইকনা: মাহে রমজান মাস হচ্ছে আল্লাহর অতিথেয়তার মাস। সাধারণ কোন অতিথি যখন কোথাও যায়, তখন যাবার পূর্বে কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করে। কিন্তু এ মেহমানির সাথে সাধারণ মেহমানির কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এ মেহমানির হচ্ছে সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক ও স্বর্গীয় এবং মেজবান হলেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা। তাই প্রস্তুতিও হতে হবে সম্পূর্ণ আত্মিক ও আধ্যাত্মিক। যেখানে পার্থিব চাকচিক্যের কোন স্থান নেই। এখানে প্রয়োজন আত্মিক পরিশুদ্ধি; যে যত বেশি নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে পারবে, সে তত বেশি মাহে রমজানের রহমত ও বরকত থেকে উপকৃত হতে পারবে।
মাহে রমজানে প্রবেশের শুরুতে সর্বপ্রথম যে বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন তা হচ্ছে নিজের মধ্যে সংকল্প করা যে, সর্ববস্থায় গুনাহ ও নাফরমানি থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে আল্লাহর অধিকার ও মানুষের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করা। আল্লাহর অধিকার হচ্ছে- আল্লাহর বিধি-নিষেধ নিজেদের ব্যবহারিক জীবনে যথাযথভাবে মেনে চলা। অর্থাৎ নামায, রোজা আল্লাহর অধিকারের অন্তর্ভূক্ত। যদি কেউ নিয়মিত নামায আদায় না করে তবে এখনই তাকে ওয়াদা করা উচিত যে, আগামীতে কখনও নামায কাজা করবে না।
আর মানুষের অধিকার হচ্ছে- কারও কোন ক্ষতি না করা, অন্যের যে কোন অধিকার রক্ষা করা, কারও নিকট যদি কেউ ঋণী থাকে, তাহলে তা সময়মত পরিশোধ করা প্রভৃতি।