বার্তা সংস্থা ইকনা: তুর্কি বংশোদ্ভূত হলেও বেতুলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা বেলজিয়ামে। আনাদোলু বার্তা সংস্থাকে বলেন, সফলতার সাথে মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করেছি। শিক্ষকরাও দারুণ প্রশংসা করেছেন আমার অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের।
বেতুল জানান, সামাজিক সেবার ওপর বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভের জন্য লিমবুর্গ প্রদেশের লিওপোল্ডর্সবার্গ শহরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে আবেদন করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে তার ইন্টারভিউও ভালো হয়েছে। কিন্তু ইন্টারভিউ বোর্ডে এক নারী কর্মকর্তা তাকে বলেন, বেতুলকে কাজের সুযোগ দেয়ার আগে তিনি অবশ্যই পৌরসভার কর্তৃপক্ষকে ডাকবেন যে তার হিজাব পরে কাজ করার অনুমতি আছে কী না।
বেতুল বলেন, ‘এরপর পৌরসভার কর্মকর্তারা এসে বলেন, হিজাব পরলে আমাকে নিয়োগ করা হবে না। যদি হিজাব ছাড়তে পারি, তবে আমাকে নেয়া হবে। আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছি, আমার ধর্ম বিশ্বাস কিছুতেই ত্যাগ করতে পারবো না। তাই হিজাবও ছাড়তে পারবো না। যে কারণে আমাকে আর নিয়োগ দেয়নি তারা।
বেতুল বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ পাওয়ার জন্য যে শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার, সবাই তার ছিলো। তিনি ভেবেছেন নিয়োগ পেতে এসবই যথেষ্ট হবে। এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি আর দশজন সাধারণ নাগরিকের মতোই সমান অধিকার চেয়েছি। অন্য বেলজিয়ানদের তারা যে অধিকার(পোশাকের স্বাধীনতা) দেয় আমাকে তা দেয়নি। আমি ও আমার মতো যারা, তাদেরকে তারা নেবে না।’
ক্ষুব্ধ বেতুল আরো বলেন, ‘কোন ইউরোপীয় দেশ যদি স্বাধীনতার বিষয়ে কথা বলে, তাদের সব নাগরিককে সমান অধিকার দিতে হবে’।
এর আগে আয়ারল্যান্ড থকে ভাষার ওপর ডিগ্রি নিয়েছেন বেতুল। ডেনমার্কেও কিছুদিন পড়াশুনা করেছেন। ইন্টার্নিশীপ করেছেন মালয়েশিয়ায়। ডাচ, ইংলিশ, ফ্রেঞ্চ ও তুর্কি ভাষা জানেন এই বেলজিয়াম মুসলিম তরুণী।