তেহরান (ইকনা): পাকিস্তানের এক শিল্পী দ্বারা প্রস্তুতকৃত পবিত্র কুরআনের সর্ববৃহৎ পাণ্ডুলিপির একাংশ দুবাই ২০২০ প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে।
বিশ্বের বৃহত্তম পাণ্ডুলিপিটি প্রস্তুত করতে প্রাকৃতিক রং এবং প্রাণবন্ত নিদর্শন দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। এই পাণ্ডুলিপিটি ফার্সি, তুর্কি এবং আরব শিল্প দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে এবং অত্যন্ত মনোরমভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এই কাজটি অ্যালুমিনিয়াম এবং সোনার প্রলেপের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে, যা পবিত্র কুরানের প্রচলিত সংস্করণ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সাধারণত পবিত্র কুরআন লিখতে কাগজ, কাপড় বা চামড়া এবং রং ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই পাণ্ডুলিপিটি ভিন্ন আঙ্গিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
পাকিস্তানী-কানাডিয়ান ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী “শাহেদ রাসাম” এর আগে অ্যালুমিনিয়াম এবং সোনার প্রলেপযুক্ত মহান আল্লাহ ৯৯টি নাম লিখেছিলেন।
শিল্পী রাসাম জানান, বিশ্বের সবচেয়ে বড় খোদাই করা পবিত্র কোরআনের প্রকল্পটি অনন্য একটি প্রকল্প। ফ্রেম ছাড়া পবিত্র কোরআনের কপিটির দৈর্ঘ্য ৮.৫ ফুট এবং প্রস্থ ৬.৫ ফুট। এর মধ্যে ৮০ হাজার শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতি পৃষ্ঠায় ১৫০ শব্দ থাকবে। আর মোট ৫৫০ পৃষ্ঠা থাকবে। এতে দুই শ কেজি স্বর্ণ ও দুই হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহৃত হয়।
তিনি আরও জানান, তিনি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। আর তাই সর্বদা নিত্য-নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করেন। চার বছর আগে এ প্রকল্পটি তিনি শুরু করেন। ৫৫০ ক্যানভাসে পবিত্র কোরআন শেষ করার কাজটি এখনও চলমান আছে। প্রাকৃতিক মূল্যবান পাথর ও অ্যালুমিনিয়ামে স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া পবিত্র কোরআনের কপিটি আগামী এক হাজার বছর স্থায়ী হবে বলে জানান তিনি। iqna