শুধুমাত্র ইরানের শালামচে বর্ডার দিয়ে আজকে ৯ লাখ জিয়ারতকারী ইরান থেকে ইরাকে প্রবেশ করেছেন। মিডিয়ার প্রতিবেদকের মতে, হাশদ আল-শাবির বাহিনী ক্রমাগত জিয়ারতকারীদের দলবদ্ধ করে এই ক্রসিং দিয়ে কারবালা প্রদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছে।
এবছর ইরাকের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলো জিয়ারতকারীদের পরিবহণের ক্ষেত্রে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি এবং জিয়ারতকারীদের পরিবহনের জন্য ডিজাইন করা ব্যবস্থার গুরুতর ত্রুটিগুলি দৃশ্যমান পরিলক্ষিত হয়েছে।
অন্যদিকে, শালামচে বর্ডার থেকে বিপুল সংখ্যক জিয়ারতকারী ইরাকে প্রবেশ করেছন এবং এর কারণে ইরাকের অভ্যন্তরে যানবাহন বিশেষ করে বাসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
তবে বসরা গভর্নরেট অনেক প্রচেষ্টায় সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে জিয়ারতকারীদের পরিবহনের জন্য উপযুক্ত সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে।
অন্যদিকে, মেহরান-জারবাতিহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ইরানী এবং অন্যান্য দেশের জিয়ারতকারীগণ ব্যাপক আগমন অব্যাহত রয়েছে যা নীচের ভিডিওতে আপনারা দেখতে পারেন।
এদিকে, সংবাদ সংস্থা আহেদ জানিয়েছে যে, প্রতিদিন হাজার হাজার জিয়ারতকারী কারবালায় প্রবেশ করছে। এ পর্যন্ত ৫০ লাখ মানুষ ইমাম হুসাইন (আ.)এর আরবাইনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কারবালা প্রদেশে প্রবেশ করেছে।
এই প্রদেশের কর্তৃপক্ষ আল-হাশদ আল-শাবির অংশগ্রহণে নিরাপত্তা ও সেবা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় জিয়ারতকারীদের স্বাগত জানাতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সেবা প্রদান করছে। জিয়ারকারীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য শহীদ আবু মাহদি আল-মুহান্দিস হাসপাতালে চিকিৎসক এবং নার্সগণ ২৪ ঘণ্টা ন্যস্ত রয়েছেন।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং প্রাদেশিক কর্মকর্তারা ঘোষণা করেছেন: কারবালা প্রদেশে প্রবেশের সব পথ খোলা আছে এবং কোনো রাস্তা বন্ধ নেই।
এদিকে, ইরানের ইমাম হুসাইন (আ.)এর আরবাইন বিষয়ক সদর দফতরের প্রধান গতকাল সকালে ঘোষণা করেছেন যে, জিয়ারতকারীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বেগের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইরাকে প্রবেশের সমস্ত সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইরানি মিডিয়ার সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, ইরাকি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে, ইরাকে ইরানি বাসের প্রবেশের মাধ্যমে যাত্রীদের বর্ডার থেকে নাজাফ অথবা কারবালায় স্থানান্তর করা হবে। 4084355