বার্তা সংস্থা ইকনা: ৪২ বছর বয়সী ওই মা ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ইসলাম গ্রহণ করেন। পরে ২০১৬ সালের ১১ জুন তার নয় বছরের মেয়ে এবং পাঁচ বছরের ছেলেকে ইসলাম ধর্মান্তর করান। গত মাসে দেশটির ‘শাহ আলম হাইকোর্ট’ এই দুই সন্তানকে মায়ের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
এব্যাপারে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী সুলাইমান আবদুল্লাহ সোমবার হাইকোর্টকে বলেন, একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম মায়ের অধিকার রয়েছে তার দুই সন্তানকে ইসলামে ধর্মান্তর করানোর। কারণ আদালত কর্তৃক তাকে সন্তানের বৈধ অভিভাবক ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আদালতকে আরো বলেন, এই দুই সন্তানকে ইসলামে ধর্মান্তর করানোয় ওই মাকে থামানোর কোনো কিছু নেই। যেহেতু আরেকটি দেওয়ানি আদালতে সন্তানদের মায়ের হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এই দুই সন্তান মুসলিম হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাহলে কেন আমরা তাদের থামাতে যাব?’
গত মাসে শাহ আলম হাইকোর্ট এই ছেলেমেয়েদের দেয়া জবানবন্দির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে এবং বলেছিল যে, তাদের মায়ের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ ছাড়াই তারা মসজিদে যেতে রাজি আছেন এবং মেয়েটি বলেছিল যে, সে মাথায় হিজাব পরিধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আদালত এই দম্পতি ও তাদের সন্তানদের নাম প্রকাশের ওপর বিধি-নিষেধ করায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সন্তানদের মায়ের দ্বারা একতরফা ইসলামে ধর্মান্তর বাতিল করতে তাদের বৌদ্ধ বাবার দায়ের করা মামলায় সুলায়মান ‘ফেডারেল টেরিটরি ইসলামি ধর্মীয় বিভাগের মুয়াল্লফ রেজিস্ট্রারের (জায়ি)’ প্রতিনিধিত্ব করছেন।
এছাড়াও, বৌদ্ধ বাবা তার ছেলে-মেয়েদের ইসলাম গ্রহণের সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন। তিনি যুক্তি দেন যে তাদের ‘অবৈধভাবে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে’।
তিনি দাবি করেন যে, তার সাবেক স্ত্রী সন্তানদের নিজ হেফাজতে রাখার চেষ্টায় তাদেরকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছেন।
সুলাইমান এদিন আদালতের কাছে উপস্থাপন করেন যে, মুসলিম হিসাবে শিশুদের নিবন্ধিত করার জন্য ‘মুয়াল্লফ রেজিস্ট্রার’ ইসলামিক আইন তাদের অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে। স্টার অনলাইন