বার্তা সংস্থা ইকনা: মমতা বলেন, ‘বিজেপি দেশ থেকে বিদায় নিয়ে সবচেয়ে ভালো হবে। কারণ, বিজেপি দেশকে লুট করছে। ভারতকে বাঁচাতে হবে, ভারতকে সফল করে তুলতে হবে, এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বেকারত্ব ও কৃষকদের সমস্যার সমাধান করত হবে। সংখ্যালঘু ভাই-বোন ও দলিতদের উপরে যে অত্যাচার হচ্ছে তা দূর করতে হবে।’
মমতা অত্যন্ত কড়া ভাষায় বিজেপি ও কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন গণপিটুনিতে মানুষ নিহত হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে। কয়েকজন তালিবানি উগ্রপন্থা হয়েছে, মানুষকে ঘৃণা করতে শিখিয়েছে, জোর করে মানুষকে খুন করছে। মানুষকে হত্যা করছে। মানুষে মানুষে বিভেদ বাধিয়ে দিয়েছে।’
কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা চলাকালীন প্যান্ডেলের একাংশ ভেঙে পড়ার কথা টেনে মমতা এদিন মলেন, ‘প্যান্ডেল ভেঙে গেছে তা বড় কথা নয়, এরা তো দেশটাকেই ভেঙে দিচ্ছে! দেশকে ভেঙে দেয়ার পরিকল্পনা করেছ।’
মমতা এদিন আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভারত দখলের ডাক দিয়ে বলেন, ‘আগামী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড (ঐতিহাসিক ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড) থেকে ২০১৯ দখলের ডাক দেয়া হবে। উনিশে ভারত সরকার দখলের ডাক হবে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে, ফেডারেল ফ্রন্টকে নিয়ে ওই কাজ আমরা করব।’
মমতা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ লোকসভা আসনের সবকটিতেই তৃণমূলের জয়ী হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তিনি ২০১৯ সালের নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আগামীদিনে বিজেপি যাতে টাকা বিলি না করতে পারে নজর রাখুন এবং পুলিশে অভিযোগ করুন। দ্বিতীয়ত কিছু বাইরের লোকজন এসে, আরএসএসের নেতা হিসেবে ব্লকে ব্লকে বসে যাচ্ছে, টাকা ছড়াচ্ছে, দাঙ্গা ছড়াচ্ছে, মিথ্যে কথা বলছে। এসব দিকে ভালো করে নজর রাখবেন। মনে রাখতে হবে, দাঙ্গা করা যাবে না। খুন করা যাবে না, চক্রান্ত করা যাবে না, ষড়যন্ত্র করা যাবে না, পৈশাচিকতা করা যাবে না, মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাঁচতে হবে।’
২১ জুলাই শহীদ দিবস স্মরণের বার্ষিক অনুষ্ঠান হলেও মমতা বিজেপিকে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে হটিয়ে দেশ বাঁচানোর ডাক দেন। তিনি ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে কীভাবে বিজেপি সরকারকে দিল্লি থেকে বিদায় দেয়া যায় তার রূপরেখা প্রকাশ করেন। পার্সটুডে