বার্তা সংস্থা ইকনা: জার্মানিতে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে থাকা প্রিন্স খালেদ বিন ফারহান ব্রিটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাজপরিবারের এসব সদস্য আধুনিক সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা রাজা আবদুল আজিজের নাতি। প্রিন্স খালেদ ফারহান জানান, “গত সপ্তাহে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রিন্সরা সাংবাদিক খাশোগি নিখোঁজের সমালোচনা করেছিলেন। এরপরই প্রিন্সদেরকে আটক করা হয় এবং তাদেরকে কোথায় রাখা হয়েছে তা জানা যায় নি।”
প্রিন্স ফারহান বলেন, “ঠিক পাঁচদিন আগে কয়েকজন রাজা সালমানের সঙ্গে দেখা করতে যান এবং তারা বলেন যে, তারা আলে সৌদি পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীত। এসময় তারা খাশোগির ঘটনা উল্লেখ করেন। কিন্তু তাদের সবাইকে জেলে পাঠানো
প্রিন্স ফারহান আরো বলেন, “সৌদি রাজপরিবারের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণকারী প্রিন্সদেরকে প্রায় সময়ই আর্থিক সুবিধার লোভ দেখিয়ে বিদেশে সৌদি কূটনৈতিক মিশনগুলোতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এভাবে সৌদি কর্তৃপক্ষ তাকে অন্তত ৩০ বার সৌদি কূটনৈতিক মিশনে নেয়ার চেষ্টা করেছে।” তিনি জানান, এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে খাশোগি নিখোঁজের ১০ দিন আগে কায়রোয় সৌদি কনস্যুলেটে ফারহানের পরিবারকে কয়েক কোটি ডলারের বিশাল চেক নেয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। সে সময় তাকে বলা হয়েছিল, সৌদি কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে যে, তিনি আর্থিক সংকটে আছেন এবং সরকার তাকে সাহায্য করতে চায়। ফারহান ও তার পরিবারকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়ার অঙ্গীকারও করেছিল সৌদি কনস্যুলেট। ইন্ডিপেন্ডেন্টকে খালেদ ফারহান বলেন, “আমি জানতাম সৌদি কনস্যুলেটে গেলে কী হতো।”
লন্ডন প্রবাসী সৌদি ব্যঙ্গ-রচয়িতা গানেম আদ-দোসারি প্রিন্স ফারহানের বক্তব্য সমর্থন করে বলেন, সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক ও লেখকরা এখন বিদেশ সফরের বিষয়ে ভয় পাচ্ছেন; এমনকি অনেকে তাদের ঘর-বাড়ি ছাড়তে ভয় পাচ্ছেন।
iqna