বার্তা সংস্থা ইকনা: মুসলিম নারী অ্যাথলেটদের জন্য বিশেষভাবে এ হিজাবের ডিজাইন করা হয়েছে। বাতাস চলাচলের জন্য রাখা হয়েছে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র। খেলার সময় যাতে এটি মুখের সামনে চলে না আসে, ডিজাইন করার সময় সে দিকেও বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ এক বছর ধরে গবেষণার পরে এ হিজাবের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নাইকি।
ক্রীড়াঙ্গনের মুসলিম নারীদের জন্য গত কয়েক বছর ধরেই হিজাব বাজারজাত করছে ক্যাপস্টারস ও রেসপোর্টঅনসহ বেশ কয়েকটি স্পোর্টস পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এতে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম যুক্ত হলো নাইকি।
এদিকে নাইকির এ উদ্যোগে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নারী অ্যাথলেটদের মধ্যে। অধিকাংশই এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে হিজাবে নাইকির লোগো ব্যবহার করায় সমালোচনা করেছে কেউ কেউ।
রোয়াইদা আবদেল আজিজ নামের এক নারী অ্যাথলেট টুইট করেছেন, ‘একজন হিজাব পরা অ্যাথলেট হিসেবে, আমি এতে নাইকির ট্রেডমার্ক দেখে মর্মাহত। হিজাব পরা অন্য অ্যাথলেটরা এ উদ্যোগকে সমর্থন দিচ্ছেন, এটাও আমাকে অবাক করেছে।’
তবে নুরহাম তুনসি নামের একজন টুইটে বলেছেন, ‘যারা নাইকির এ উদ্যোগের সমালোচনা করছেন তাদের বলতে চাই, আগে সাধারণ একটি হিজাব পরে ব্যায়াম করে দেখুন। জাহান্নামের মতো গরম আপনার মাথার চারপাশ ঘিরে থাকবে। আমি এ উদ্যোগে বেশ আনন্দিত।’
কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ভেবেচিন্তেই হিজাবে বাম কানের ওপর নাইকির ট্রেডমার্ক বসানো হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অ্যাথলেট জাহরা লারি নাইকির এ বিশেষ হিজাবের মডেল হয়েছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তিনি এ হিজাব পরিহিত ছবি টুইট করেছেন। ২০১৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে তিনি নাইকির হিজাব পরে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করার আশা করছেন।
iqna