বার্তা সংস্থা ইকনা: ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল রক্তক্ষয়ী বিমান হামলায় ২৫ বছরের যুবক মুহম্মাদ যায়ানিন শহীদ হয়েছেন।
গাজার অধিবাসীরা জানিয়েছেন, ইসরাইলি বিমান থেকে আজ (বুধবার) গাজার তিনটি স্থানে হামলা চালানো হয়। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিমান হামলার পর উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজার সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে।
ইসরাইলের একটি এসক্রোর্ট বিমান গাজার উত্তরাঞ্চলে একটি বসতি এলাকা হামলা চালায়। আকাশ পথে এই হামলার ফলে একজন শহীদ এবং তিনজন আহত হয়েছেন।
এছাড়াও ইসরাইলি বিমান হামলার ফলে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফা শহরের ৪ জন ফিলিস্তিনি আহত হন।
গাজার উত্তরাঞ্চলের "বাইত লাহিয়া", গাজার দক্ষিণাঞ্চলের "আবু জেরাদ", গাজার আজ আদ-দিন আল-কাসাম ব্রিগেড ঘাঁটি এবং গাজার দক্ষিণাঞ্চলের "খান ইউনুস" এলাকায় আকাশ পথে ইসরাইলী সেনারা হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলি বাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, গাজা থেকে গতরাতে রকেট হামলা করার পর তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। তারা আরো বলছে, গাজা থেকে ছোঁড়া একটি রকেট বিরশেবা শহরে আঘাত হানে এবং অন্যটি সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। ইসরাইলের একটি হাসপাতাল সূত্র বলেছে, রকেট হামলায় আহত তিন ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
তবে গাজার প্রতিরোধ সংগঠনগুলো যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে ইসরাইলের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে। এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রায় সময় গাজা উপত্যকার ওপর বিমান হামলা চালিয়ে থাকে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের যৌথ অপারেশন রুম এক বিবৃতিতে ইসরাইলী হামলা মোকাবেলা করার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে বলে গুরুত্বারোপ করেছে।
এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা ইসরাইলি শাসনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের রাইফেল আমাদের জাতির পৃষ্ঠপোষক হবে। এই অস্ত্র সর্বদা শত্রুদের দিকে তাক করা থাকবে।