IQNA

ইসরাইলে তুর্কি অস্ত্র রপ্তানি অব্যাহত থাকার আশঙ্কা; বাড়ছে উদ্বেগ

0:17 - March 29, 2024
সংবাদ: 3475283
ইকনা: দখলদার ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে তুরস্কের পরিসংখ্যান দপ্তরের প্রতিবেদন ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।  তুরস্কের পরিসংখ্যান দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং অন্যান্য অধিকৃত ভূখণ্ডে ইহুদিবাদীদের নৃশংস হামলার মধ্যেও প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সরকার দখলদার ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর তুরস্কের জনগণ এবং দেশটির কয়েক জন সংসদ সদস্য ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে দেশটি ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছে প্রায় আশি হাজার ডলার মূল্যের অস্ত্র রপ্তানি করেছে। গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা চলার মধ্যেই তুরস্ক থেকে ইসরাইলে গানপাউডার, বিস্ফোরক এবং অস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করা হয়েছে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য মঙ্গলবার এই বড় বিতর্ক নিরসনে পৃথক বিবৃতি দিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরণের সামরিক সহযোগিতার তথ্য অস্বীকার করেছে।

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও আলাদা এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরাইলে রপ্তানিকৃত গানপাউডার এবং বিস্ফোরক দ্রব্য  কোনো ধরণের সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়নি।

এর আগে তুর্কি সংসদের বিরোধী দলীয় ১৫ সদস্যসহ বিশ্বের ১৩টি দেশের দুইশ'র বেশি আইনপ্রণেতা গাজায় হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরাইলে অস্ত্র রপ্তানির বিরোধিতা করেছিলেন।

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কই প্রথম ইসরাইলের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপন করে। ১৯৪৯ সালে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক এমনকি সামরিক পর্যায়ে উন্নীত হয়।

মুসলিম দেশগুলোর প্রথম কোনো শীর্ষ নেতা হিসেবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান জায়নবাদ বা ইহুদিবাদের প্রতিষ্ঠাতা থিওডোর হার্জলের কবর পরিদর্শন করেন।

গত ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী পশ্চিমা দেশগুলোর সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে গাজা উপত্যকা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে নিরুপায় মজলুম ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী গাজায় ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ ও ৭৫ হাজার আহত হয়েছেন।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী শাসকের পরিকল্পনায়  বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে আজকের ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্রটি তৈরি করা হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে বহু গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল।#

পার্সটুডে

captcha